সোলার প্যানেল(সৌরকোষ)কি?এটি কিভাবে কাজ করে?বিশ্বে সোলার প্যানেলের চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত...
বর্তমান পৃথিবীর বিশাল সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Power crisis বা শক্তি সংকট। আমরা আমাদের প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ শক্তি ব্যয় করে থাকি।কিন্তু এই শক্তির সোর্স কোথায়? খাবারের শক্তি আমরা সবুজ উদ্ভিদ থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু অন্যান্য কাজে যেমন-গাড়ির তেল,চুলার গ্যাস,কারখানার জ্বালানি যে শক্তি ব্যবহার করে থাকি তার উৎস হলো জীবাশ্ম জ্বালানি।বর্তমানে আমরা যে হারে এই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করছি, ধারণা করা হয় আগামি ১২০-১৫০ বছরে তা ফুরিয়ে যাবে।তাহলে তখন মানুষ কিভাবে শক্তির জোগান দেবে? প্রয়োজন আছে বলেই মানুষ উদ্ভাবন করে।শক্তির চাহিদা থাকার কারণে বিজ্ঞানীরা বিকল্প শক্তির খোজ করতে লাগলেন।এভাবে সোলার প্যানেলের বিকাশ শুরু হলো।
সোলার প্যানেলের(সৌরকোষ) উৎপত্তি ও বিকাশ
১৮৩৯ সালে আলেকজান্ডার এডমন্ড বেকেরেল ফটোভল্টাইক প্রভাব আবিষ্কার করেন।তার এই আবিষ্কার দেখায় যে কি ভাবে সূর্যের আলো থেকে বিদুৎশক্তি পাওয়া যেতে পারে। তিনি দাবি করেন যে সূর্যের আলো কোন পরিবাহী দ্রবণের মধ্যে ডুবানো ইলেক্ট্রোডে বিদুৎপ্রবাহ তৈরি করতে পারে। তারপর অনেক গবেষনা হয়। কিন্তু তখন ফটোভল্টাইক কোষের ব্যবহার গবেষনাগারে থেকে যায়।
তারপর ১৯৪১ সাল, রাসেল ও'ল নামের একজন বিজ্ঞানী সৌরকোষ আবিষ্কার করলেন।তখন থেকে আবার সৌরবিদুৎ এর উপর বিজ্ঞানিদের নজর পড়ল ।শুরু হল সৌরকোষের বিকাশ।
সৌরকোষ কিভাবে কাজ করে??
আলোকরশ্মির ফটন কনা কোনো নির্দিষ্ট যৌগের উপর বা কোনো বস্তুর উপর পড়লে ,উক্ত বস্তু হতে ইলেক্ট্রন নির্গত হয়। এই নির্গত ইলেক্ট্রন অন্য কোনো যৌগ বা বস্তুকে আঘাত করে এবং অপর বস্তুটি ইলেক্ট্রন গ্রহহ করে । এই দুই বস্তুকে কোনোপরিবাহি তার দ্বারা যুক্ত
করা করলে ইলেক্ট্রন এর আদানপ্রদানের কারনে তা বিদুৎশক্তি তৈরি করে। এই বিদুৎশক্তি অন্যকোনো সঞ্চয়ী কোষে সঞ্চয় করে রাখা হয় বা অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়।
সৌরকোষের সুবিধা
সৌরকোষ হলো সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব শক্তি। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি সরাসরি সুর্যের আলোকে বিদুৎশক্তিতে পরিনত করে বলে কোনো পরিবেশ দূষনকারি বর্জ্য তৈরি করে না। ফলে পরিবেশ থাকে নির্মল। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে খরচ খুব কম ।
সৌরকোষের অসুবিধা
এই পদ্ধতির অসুবিধা খুব কম ।তবে কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেমন-এই প্রক্রিয়া বড় আকারে করার জন্য বিশাল জায়গা দরকার।কারন এই কোষ খুব কম পরিমান সুর্যের আলোকে আবদ্ধ করতে পারে ।
তাই অনেক সোলার প্যানেল দরকার পড়বে ,যার জন্য বিশাল জায়গা লাগবে।তবে বিজ্ঞানিরা সোলার সেলের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে একটা খুশির খবর হলো বাংলাদেশ বর্তমানে
বিশ্বের এক নম্বর সোলার প্যানেল ব্যবহারকারী দেশ।
শেষ কথা
অপরের লেখা কপি করলে কোনো কতৃত্ব থাকে না। সুতরাং অন্যের লেখা কপি করা হতে বিরত থাকুন।
কথা অনেক হলো।আজ এটকুই।আবার আরেকদিন হয়তোবা নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব। ততদিন সবাই ভালো থাকবেন ।
আল্লাহ হাফেজ...।
l
Comments
Post a Comment